‘কম্বলটা পেয়ে শীতের কষ্ট চলে গেল’
‘মুই শীতত খুব কষ্ট করিচ্ছুনু। আজক্যা কম্বল গাওত দিয়ে আরাম পাওচি।’ একটি কম্বল পেয়ে এভাবে অনুভূতি ব্যক্ত করেন আমেনা বেওয়া (৭৭)। তাঁর বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গুরকি গ্রামে।
গতকাল শুক্রবার সকালে আক্কেলপুর পৌর শহরের শহীদ ছমির উদ্দিন মণ্ডল স্মৃতি পার্কে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ করা হয়। আমেনা বেওয়ার মতো আক্কেলপুর পৌরসভা ও উপজেলার দুটি ইউনিয়নে অসহায় শীতার্ত ২০০ মানুষের মধ্যে এসব কম্বল বিতরণ করেন জয়পুরহাট বন্ধুসভার সদস্যরা।
এর আগে জয়পুরহাট বন্ধুসভার সদস্যরা অসহায় শীতার্ত মানুষ বাছাই করে তাঁদের কাছে স্লিপ দেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্লিপ হাতে নিয়ে তাঁরা কম্বল বিতরণের স্থান শহীদ ছমির উদ্দিন মণ্ডল স্মৃতি পার্কে আসতে শুরু করেন। ১০টার পর সবাইকে সারি করে বসিয়ে বন্ধুসভার সদস্যরা তাঁদের হাতে কম্বল তুলে দেন।
পৌর এলাকার হাস্তাবসন্তপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মাজেদা বেগম (৬৮) বলেন, ‘রাতত খুব ঠান্ডা লাগে। কম্বলটা গাওত দিয়ে আরামে ঘুমামু। আল্লাহ তোমাকরে ভালো করবে।’
তিলকপুর ইউনিয়নের কয়া শোবলা গ্রামের আয়েন উদ্দিন (৭২) বলেন, ‘হামার বয়স হচে। মোর শরীলত আর শীত সহ্য হয় না। কয় দিন অ্যানা শীত বেশি পড়িছিল, তখন কষ্ট হওছিল। কম্বলটা পেয়ে মোর শীতের কষ্ট চলে গেল।’
কম্বল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজেন্দ্র প্রসাদ আগরওয়ালা, আক্কেলপুর সরকারি ফজর উদ্দিন (এফইউ) পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ইসমাইল হোসেন, প্রথম আলোর জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম, জয়পুরহাট বন্ধুসভার সভাপতি নাজমুল হোসাইন, আক্কেলপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ওমপ্রকাশ আগরওয়ালা, সাধারণ সম্পাদক আতিউর রাব্বী তিয়াস প্রমুখ।
শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল, হিসাব নম্বর: ২০৭২০০০০১১১৯৪, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা। অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩-০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। বিকাশ অ্যাপে ডোনেশন অপশনের মাধ্যমেও আপনার অনুদান পাঠাতে পারেন।