নোয়াখালীতে বছরের প্রথম দিন নতুন বই বিতরণ শুরু, মাধ্যমিকের বই এখনো পৌঁছেনি
নোয়াখালীতে বিপুল আনন্দ–উৎসবের মধ্য দিয়ে নতুন বছরের বই বিতরণ শুরু হয়েছে। তবে সব শ্রেণির পাঠ্যবই প্রতিষ্ঠানগুলোয় না পৌঁছার কারণে বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাচ্ছে না।
আজ বুধবার সকালে জেলা শহর মাইজদীর লক্ষ্মী নারায়ণপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা যায়, পৌষের কনকনে শীত আর কুয়াশা মাড়িয়ে নতুন বইয়ের জন্য নিজ নিজ ক্লাসে উপস্থিত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। নতুন বই হাতে পেয়ে পাতা উল্টে উল্টে ঘ্রাণ নিতে দেখা যায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে।
দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. তাওশীন জানায়, নতুন বই হাতে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে তার। বইয়ের ঘ্রাণ অনেক চমৎকার লাগছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শামসুদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা এরই মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর চাহিদা অনুযায়ী নতুন বই হাতে পেয়েছেন। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির কোনো বই তাঁদের হাতে এখনো আসেনি। একইভাবে আসেনি প্রাক্-প্রাথমিকের বইও। তাই তাঁরা আজ বছরের প্রথম দিনে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এবার অন্যান্য বছরের মতো বছরের প্রথম দিন বই বিতরণের উৎসব করা হচ্ছে না। তবে প্রতিটি বিদ্যালয়ে যেসব শ্রেণির বই পৌঁছেছে, সেগুলো আজ বিতরণ করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, জেলায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সব বই পৌঁছেছে। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই এখনো জেলায় পৌঁছেনি। সেগুলো পৌঁছানোর পর শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
অপর দিকে জেলার নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় এখনো কোনো বই পৌঁছেনি বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর। আজ সকালে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে কিছু বই জেলায় জেলায় পাঠানো হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে বইগুলো আজ সকাল পর্যন্ত জেলার কোনো উপজেলায় এসে পৌঁছেনি।
শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, মাধ্যমিকে স্কুল পর্যায়ের বই না পৌঁছালেও মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও ইংরেজি বই পৌঁছেছে হাতিয়া ছাড়া বাকি আটটি উপজেলায়।