ধুনটে জামায়াত নেতার ছেলেসহ অজ্ঞান পার্টির ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার অজ্ঞান পার্টির পাঁচ সদস্য। বাঁ থেকে হোসনে রেজা (উপরে), নজরুল ইসলাম (নিচে), মাঝে মাহমুদুল হাসান, কেরামত আলী (উপরে), শরিফুল ইসলাম (নিচে)
ফটো কোলাজ: প্রথম আলো

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় জামায়াত নেতার ছেলেসহ অজ্ঞান পার্টির পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ধুনট পৌর এলাকার ভরনশাহী বাইপাস চার মাথা সড়ক থেকে তাঁদের আটক করা হয়। আজ শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির ও চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হারুন অর রশিদের ছেলে মাহমুদুল হাসান (৩৫), কালেরপাড়া গ্রামের হোসনে রেজা (৩২), চরপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম (৩৪), শাহজাহানপুর উপজেলার বিরকুষ্টিয়া গ্রামের কেরামত আলী (৪৭) ও সুন্দরগঞ্জ থানার আজিতপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার পিরহাটি গ্রামের নছের আলীর ছেলে রাকিবুল হাসান (১৫) পেশায় ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালক। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রাকিবুলের ভ্যানে মথুরাপুর বাজার থেকে ধুনট শহরে যাচ্ছিলেন মাহমুদুল হাসান। পথে হোসনে রেজা ও শরিফুল, কেরামত ও নজরুল ওই ভ্যানে ওঠেন। তাঁরা ভ্যানচালক রাকিবুলকে কৌশলে বিষজাতীয় জুস খাওয়ান। একপর্যায়ে ধুনট-বাইপাস সড়কের ভরনশাহী চার মাথা এলাকায় ভ্যানচালক রাকিবুল অজ্ঞান হয়ে যান। এ সুযোগে তাঁরা চালককে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে ভ্যান নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে ওই পাঁচজনকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা সবকিছু স্বীকার করলে তাঁদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

স্থানীয় লোকজন অজ্ঞান অবস্থায় রাকিবুলকে উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় রাকিবুলের বাবা নছের আলী বাদী হয়ে আজ সকালে ওই পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। দুপুরে তাঁদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজ্জাকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ওই পাঁচজন এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি। তাঁদের বিরুদ্ধে ধুনটসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভ্যানচালক রাকিবুল হাসান বলে, মাহমুদুল হাসান একাই মথুরাপুর বাজার থেকে ধুনটে আসার জন্য ভ্যান ভাড়া নেন। রাস্তায় অন্য চারজন তাঁর সঙ্গে যোগ দেন। তাঁরা রাস্তায় তাকে জুস খাওয়ান। এরপর কী হয়েছে, সে জানে না।