নোয়াখালীতে নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে দুই সোনার দোকানে ডাকাতি
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে দুটি সোনার দোকানে লুটপাট চালিয়েছে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। এ সময় তারা প্রায় ২৫৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, সাড়ে ৩০০ ভরি রুপা ও আড়াই লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে ভোর চারটার মধ্যে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। লুট হওয়া স্বর্ণালঙ্কারের বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।
নিহত নৈশপ্রহরীর নাম মো. শহিদ উল্যাহ (৫০)। তিনি একই উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের চর গুল্লাখালী গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নিয়ে আসে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত ৩টার দিকে ২৫ থেকে ৩০ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল পিকআপ ভ্যান নিয়ে চাপরাশিরহাট বাজারে হানা দেয়। তারা বাজারের পশ্চিম অংশে মা-মণি জুয়েলার্সের লোহার ফটক কেটে ডাকাতি শুরু করে। একপর্যায়ে তারা সঙ্গে করে নিয়ে আসা গ্যাস ওয়েল্ডিং যন্ত্র দিয়ে দোকানের লকার কেটে স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। এ সময় বাজারের নৈশপ্রহরী মো. শহিদ উল্যাহ বাধা দিলে ডাকাতেরা তাঁর মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এরপর ডাকাতেরা একই বাজারের নূর জুয়েলার্সেরও লোহার ফটক কেটে সেখান থেকে স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। একই সময় বাজার দিয়ে পণ্য কেনার জন্য যাওয়ার সময় শরিফ ক্লথ স্টোরের মালিককে মারধর করে সঙ্গে থাকা টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
মা-মণি জুয়েলার্সের মালিক মিন্টু চন্দ্র নাথ বলেন, ডাকাতেরা তাঁর জুয়েলারি দোকানের লকার কেটে প্রায় ২৫০ ভরি সোনা, ১৫০ ভরি রুপা ও আড়াই লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। একই সময় তাঁরা দোকানের ভেতরের অন্য জিনিস ভাঙচুর ও তছনছ করে।
নূর জুয়েলার্সের মালিক নূর আলম বলেন, ডাকাতেরা তাঁর দোকান থেকে প্রায় ৭ ভরি সোনা, ২৫০ ভরি রুপা লুট করে নিয়ে গেছে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক কবিরহাট থানা-পুলিশ ও পরে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে গেছেন। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও নিহত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।