দুই রোহিঙ্গা জাতীয় পরিচয়পত্র বানাতে ভৈরবে এসে আটক

আটকপ্রতীকী ছবি

জাতীয় পরিচয়পত্র বানাতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসেছিলেন দুজন রোহিঙ্গা। ভুয়া জন্মসনদ দিয়ে নিজেদের তাঁরা ভৈরবের বাসিন্দা বলে দাবি করেন। তবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার জিজ্ঞাসাবাদে ধরা খেয়েছেন তাঁরা। পরে পুলিশ এসে তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

আটক হওয়া দুজন পুলিশের কাছে নিজেদের নাম হামিদা বেগম (২৮) ও মো. এরশাদ (২০) বলে উল্লেখ করেন। এ ঘটনায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনে মামলা হয়েছে।

নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, দুপুরে একজন নারী ও একজন পুরুষ একসঙ্গে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে জাতীয় পরিচয়পত্র বানাতে চাওয়ার কথা বলেন। পরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেন। কাগজপত্র দেখে নির্বাচন কর্মকর্তার সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সন্দেহ আরও বড় হয়। পরে তিনি বুঝতে পারেন তাঁরা রোহিঙ্গা।

ভৈরব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহা বলেন, দুজন ভৈরব পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিসেবে ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করেন। সনদে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মমিনুল হকের স্বাক্ষরটি জাল। তাঁদের সম্পর্কে কাউন্সিলরকে জানানো হয়। তখন কাউন্সিলর তাঁদের চেনেন না এবং জন্মসনদে স্বাক্ষর দেননি বলেও জানান।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হয়েছেন তাঁরা রোহিঙ্গা। আটক হামিদা নিজের স্বামীর নাম মো. সালেহ বলে জানান। এরশাদ জানান তাঁর বাবার নাম রফিক আহমেদ।

ওসি আরও জানান, হামিদা থাকেন কক্সবাজারের হামিদাপাড়া পাহাড়তলী এলাকায়। আর এরশাদ থাকেন একই জেলার রামুতে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভৈরব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনে মামলা করা হয়। দুজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ কারাগারের জেলহাজতে পাঠানো হয়।