সীতাকুণ্ডে বাস উল্টে এক লেন থেকে আছড়ে পড়ল আরেক লেনে, নিহত ১

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট এমপিবাড়ি এলাকায় বাসটি দুর্ঘটনায় পড়েছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সড়কের ওপর যাত্রীবাহী বাস উল্টে এক যাত্রী নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম আবুল কাশেম (৬৫)। তিনি চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানাধীন নিউমুরিং আবাসিক এলাকার বাসিন্দা।

এ ঘটনায় আহত তিনজন হলেন নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার মো. আরিফ (৩০), কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার আবদুল মেতালেব (৫২) ও ফেনী জেলার সোনাগাজী এলাকার বাসিন্দা স্বপ্না রানী নাথ (৪৯)। আহত ব্যক্তিরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।

দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে নাম না জানা এক নারী যাত্রী নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। তবে পরে একজন পুরুষ যাত্রী মারা যান বলে নিশ্চিত করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, উদ্ধারের সময়ে তাঁর কাছে ভুল বার্তা এসেছিল। দুর্ঘটনাস্থলে একজন পুরুষ নিহত হয়েছেন। তিনি আরও  বলেন, আজ সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট এমপিবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় উল্টে যাওয়া বাসের ভেতরে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

দুর্ঘটনার ফলে প্রায় দেড় ঘণ্টা মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেন বন্ধ ছিল। ফলে কিছুটা যানজট সৃষ্টি হয়। বেলা পৌনে ১১টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটিকে সরিয়ে নেয় বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্টার লাইন পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসের চাকা ফেটে গেলে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। বাসটি সড়ক বিভাজকে ধাক্কা খেয়ে উল্টে ঢাকমুখী লেন থেকে চট্টগ্রামমুখী লেনের ওপর আছড়ে পড়ে। বাসটিতে ১৫ থেকে ১৬ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর ৭-৮ জন যাত্রী বাসে আটকা পড়েন।

সৌরভ দাস নামের স্থানীয় একজন বলেন, দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারকাজে এগিয়ে আসেন। তাঁরা তিন-চারজনকে উদ্ধার করেন। কিন্তু বাসের দরজা-জানালা এমনভাবে ছিল যে ভেতর থেকে কয়েকজন যাত্রী বের হতে পারছিলেন না। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে স্থানীয় ব্যক্তিদের দুটি খননযন্ত্রের সাহায্যে যাত্রীদের ভেতর থেকে উদ্ধার করে।  

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে স্থানীয় জনতা কয়েকজন যাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। সকাল ১০টার দিকে তাঁরা ভেতর থেকে চার যাত্রীকে উদ্ধার করেন। এর মধ্যে একজন মৃত ছিলেন।

বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, বাস দুর্ঘটনায় ৭-৮ জন আহত হয়েছেন। আহত তিনজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। নিহত আবুল কাশেমের বাড়িতে গিয়ে তিনি লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছেন বলে জানান।