ফরিদপুরে জামায়াতের কার্যালয়ে তল্লাশি, ১২টি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধারের দাবি পুলিশের
ফরিদপুরে জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে এ অভিযান শুরু হয়। অভিযান চলে বিকেল প্রায় সাড়ে চারটা পর্যন্ত। অভিযানকালে বিভিন্ন ধরনের পুস্তক, চাঁদার রসিদ, চেক বইয়ের পাশাপাশি ১২টি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়।
জেলা জামায়াতের কার্যালয়টি শহরের প্রধান মসজিদ হিসেবে পরিচিত চকবাজার জামে মসজিদসংলগ্ন মার্কেটের চারতলায় অবস্থিত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিযানকালে পুলিশ চার কক্ষবিশিষ্ট ওই কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষের জিনিসপত্র ঘেঁটে দেখে। তল্লাশির এক পর্যায়ে একটি কক্ষে একটি বক্সে রাখা ৭টি এবং চিলেকোঠায় ওঠার সিঁড়ির পাশে একটি ঝুলন্ত ব্যাগে রাখা ৫টিসহ মোট ১২টি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করে। এর মধ্যে নয়টি লাল রঙের টেপ এবং তিনটি কালো রঙের টেপ দিয়ে প্যাঁচানো রয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, তালা ভেঙে জেলা জামায়াত কার্যালয়ে এ অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা হয়নি। তবে ১২টি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জামায়াতের ফরিদপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক সহকারী আবদুল তাওয়াব বলেন, জামায়াত অফিসে বই ছাড়া কিছু নেই। ওই অফিসে ককটেল কিংবা বিস্ফোরকজাতীয় কোনো বস্তু ছিল না। ওই অফিস থেকে এসব কীভাবে পাওয়া গেল বা উদ্ধার করা হলো, এর উত্তর পুলিশই ভালো দিতে পারবে।
এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ এমদাদ হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাহউদ্দিন, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান প্রমুখ।