রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাতে হবে: হেফাজত মহাসচিব

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান। সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনিদের ওপর জুলুম–নির্যাতনের প্রতিবাদে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান। অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্রুত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাতে হবে। হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে, গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে। সুযোগ হলে ফিলিস্তিনে গিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জিহাদ করব।’

আজ সোমবার বেলা দুইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি কথাগুলো বলেন।

এর আগে জোহরের নামাজের পর জেলা শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা হেফাজতে ইসলাম। মিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে তারা একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করে। বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান। এ সময় সাজিদুর রহমানসহ অন্য নেতারা বক্তব্য দেন। এ সময় তাঁদের হাতে ‘ফ্রি ফিলিস্তিন, ‘সেভ ফিলিস্তিন’, ‘স্টপ জেনোসাইড’, ‘বয়কট ইসরায়েল’ লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল শুধু মুসলমানদের কর্তব্য নয়, এটি সমগ্র মানবজাতির কর্তব্য বলে মনে করেন সাজিদুর রহমান। ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজায় যে গণহত্যা চালাচ্ছে, তা মানবতাবিরোধী কাজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা মানবতার দাবিদার, তাদের এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ জানানো জরুরি। মুসলিম-অমুসলিম সবাইকেই সোচ্চার হতে হবে।

ইহুদিদের মুসলমানদের এক নম্বর শত্রু উল্লেখ করে সাজিদুর বলেন, ‘ইসলামের শুরু থেকে ইহুদিরা মুসলমান, ইসলাম ও মহানবী হজরত মুহাম্মদের (সা.) বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে আসছে। আজ ইসরায়েল যে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, নেতানিয়াহু সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী, বিশ্ব সন্ত্রাসী। নেতানিয়াহুর বিচার করতে হবে। একদিন আসবে, ইসরায়েলের কোনো চিহ্ন পৃথিবীর বুকে থাকবে না। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যেভাবে পারি প্রতিবাদ করে যাব, এটা আমাদের কর্তব্য। ইসরায়েলের পণ্য বর্জন করা জরুরি। ইসরায়েলের কোনো পণ্য আমরা কিনব না।’