সিলেটে বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নদ-নদীর পানি
সিলেটে জ্যৈষ্ঠের শেষ দিন থেকে আষাঢ়ের প্রথম দিন ভারী বৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টাতেও হয়েছে বৃষ্টি। বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নদ-নদীর পানি। সিলেটের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১১৫ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৩৯ মিলিমিটার।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, সিলেটে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা সিলেটে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সিলেটের নদ-নদীর পানি গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ওপরে ওঠেনি। তবে দিনে দিনে পানি বাড়ছে। আজ সকাল ৯টায় সিলেটের সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ১২ দশমিক ৩৬ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত বৃহস্পতিবার ওই পয়েন্টে পানি ১০ দশমিক ৬১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। বৃহস্পতিবার সেখানে ৮ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সেখানে আজ সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৫৯ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৩ দশমিক শূন্য ৫ সেন্টিমিটার। সেখানে আজ সকলে ১০ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। বৃহস্পতিবার নদীর ওই পয়েন্টে ৮ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছিল। শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৫৫। সেখানে আজ সকাল ৯টায় ৬ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। বৃহস্পতিবার সেখানে ৪ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
তবে পিয়াইন নদের জাফলং পয়েন্টে পানি গতকালের তুলনায় কমেছে। গতকাল সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ সকালে তা কমে ১০ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ ছাড়া সারি নদের সারিঘাট পয়েন্টেও গতকালের তুলনায় আজ পানি প্রবাহের পরিমাণ কমেছে। গতকাল সকালে সারিঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ সকালে সেখানে ১১ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, সিলেটে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। তবে এখনো কোনো বাঁধ ভাঙেনি।