নান্দাইলে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন
ময়মনসিংহের নান্দাইলে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরের সামনে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা।
বেলা পৌনে ১১টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের (আন্তর্জাতিক কমান্ড কাউন্সিল) ব্যানারে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শফিকুল আলম, মো. শামসুজ্জামান ও ইউনুছ আলী।
উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের কচুরী গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শামসুজ্জামান জানান, দুই সপ্তাহ ধরে কচুরী, নারায়ণপুর, বাকচান্দাসহ আশপাশের গ্রামে প্রতিদিন চার থেকে সাত ঘণ্টা টানা বিদ্যুৎ থাকে না। গতকাল রোববার রাতেও ১০টা থেকে দিবাগত রাত ২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। গ্রাহকেরা অত্যন্ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
বক্তারা বলেন, গ্রীষ্মকালের শুরুতেই নান্দাইল পৌরসভাসহ গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতের মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে। এতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং দেওয়া হবে, সে জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হোক। এতে তাঁদের ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে। এ সময় তাঁরা বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল তৈরি বন্ধ, গ্রাহকদের উন্নত প্রযুক্তির বৈদ্যুতিক মিটার সরবরাহ, পল্লী বিদ্যুতের কার্যালয়ে সাধারণ গ্রাহকদের হয়রানি বন্ধ, কার্যালয় দালালমুক্ত করাসহ আটটি দাবি জানান। এর পাশাপাশি তাঁরা বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য গ্রাহকদের প্রতি আহ্বান জানান।
কর্মসূচিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের বিভাগীয় মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শেফালী আক্তার, সংগঠনের নেতা আহসান কাদের মাহমুদ ভূইয়া, আসাদ মিয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।
লোডশেডিং সম্পর্কে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নান্দাইল আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) বিপ্লব চন্দ্র সরকার প্রথম আলোকে বলেন, নান্দাইল উপজেলার প্রায় সোয়া লাখ গ্রাহকের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা ৩৫ মেগাওয়াট। তবে এখন চাহিদার বিপরীতে ১৩ থেকে ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে।