কটিয়াদীতে অটোরিকশাচালকের মৃত্যু, পিটুনির অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পুলিশের পিটুনিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক চালকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
তবে পুলিশের দাবি, এক মাদক ব্যবসায়ীকে ধরতে অভিযানের সময় দৌড়ে পালাতে গিয়ে অচেতন হয়ে মারা যান ওই ব্যক্তি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ফেকামারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া চালকের নাম ইয়াসিন মিয়া (৪০)। তাঁর বাড়ি নরসিংদী সদরে। স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে তিনি কটিয়াদীর ফেকামারা গ্রামে থাকতেন।
ইয়াসিনের পরিবারের কয়েকজন সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইয়াসিন মিয়া কয়েক বছর ধরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ফেকামারা গ্রামে ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যায় একই এলাকায় লিটন মিয়া নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। লিটন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। অভিযানের সময় ওই বাড়িতেই ছিলেন ইয়াসিন। পুলিশ দেখে সবার সঙ্গে সেখান থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন ইয়াসিনও। কিন্তু তিনি পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। পরে সেখানেই ইয়াসিনকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করে পুলিশ। এতে ইয়াসিন অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পুলিশ জানায়, লিটনের বাড়িতে মাদকের একটি বড় চালানের খবরে অভিযান চালানো হয়। তবে অভিযানের সময় কোনো মাদক উদ্ধার করা যায়নি। পরে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ইয়াসিনের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয় এবং রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ইয়াসিনের স্ত্রী আমেনা খাতুন বলেন, তিনি প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন, তাঁর স্বামী পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর নিজেকে অটোরিকশার চালক হিসেবে পরিচয় দেন। কিন্তু পুলিশ কোনো কথা না শুনে তাঁকে মারধর শুরু করে। পুলিশের মারধরে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে।
ইয়াসিনকে মারধরের কথা অস্বীকার করে কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, মূলত পুলিশ দেখে পালানোর সময় অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যান ইয়াসিন। হাসপাতালে নেওয়ার পর ইয়াসিনের মৃত্যু হয়।