বিএনপির বাধায় কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ইফতার মাহফিল স্থগিত
পরপর দুটি ইউনিয়নে ইফতার মাহফিলে বিএনপির বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে সখীপুর উপজেলার বাকি আট ইউনিয়নে ইফতার মাহফিল স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। কাদের সিদ্দিকী নেতৃত্বাধীন দলটির সখীপুর উপজেলার সভাপতি আবদুস সবুর খান আজ বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। আজ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কেজিকে উচ্চবিদ্যালয় মাঠে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের তৃতীয় ইফতার মাহফিল হওয়ার কথা ছিল।
তবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপির সখীপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান। তিনি বলেন, ‘দুটি ইউনিয়নে তাদের (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ) দলীয় ইফতার মাহফিলে আমরা কোনো বাধা প্রদান করিনি। তবে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রজনতা নামের একটি সংগঠন তাদের বাধা দিয়েছে বলে শুনেছি।’
কাদের সিদ্দিকীকে উদ্দেশ করে শাজাহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাদের সিদ্দিকী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের দোসর। তাঁর দল ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে ২৪ সালের ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। আমরা মনে করি, ফ্যাসিস্টদের এই বাংলার মাটিতে কোনো ঠাঁই হবে না। তেমনি ফেসিস্টদের দোসর হিসেবে কাদের সিদ্দিকীকেও রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করা হবে।’
উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন আজ দুপুরে প্রথম আলোকে জানান, গত রোববার উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের গড়বাড়ী বাজারে ও গত সোমবার কালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া পাবলিক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পূর্বনির্ধারিত দলীয় ইফতার মাহফিলের স্থান-তারিখ দেওয়া ছিল। কিন্তু বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মী সমর্থকদের বাধায় ওই দুটি পূর্বনির্ধারিত স্থানে ইফতার আয়োজন করা যায়নি।
সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘পরে রোববার গড়বাড়ী এলাকা থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণে তৈলধারা বাজারে ও গত সোমবার কচুয়া পাবলিক উচ্চবিদ্যালয় থেকে তিন কিলোমিটার উত্তরে ঘোনারচালা বাজারে গিয়ে আমাদের ইফতার করতে হয়েছে। দুটি মাহফিলেই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। আজ গজারিয়া ইউনিয়নের কেজিকে উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ইফতার মাহফিল করার কথা ছিল। বিএনপির নেতা–কর্মীদের বাধা দেওয়ার কারণে আমরা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছি। আমরা এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করেছি। পরবর্তীতে পরিবেশ হলে আমরা আবার বাকি ইউনিয়নের ইফতার মাহফিলের তারিখ ঘোষণা করব।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুস সবুর খান বলেন, ‘আমাদের দলের নেতা–কর্মীর অভাব নেই। আমরাও ইচ্ছা করলে বিএনপির সঙ্গে ঝগড়া করতে পারি। কিন্তু আমরা তা করব না। আমরা রাজনৈতিকভাবেই বিএনপিকে মোকাবিলা করব।’
ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র জনতার পক্ষে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সৈয়দ একাব্বর হোসেন জানান, কাদের সিদ্দিকী ছিলেন ১৯৭১ সালের বীর মুক্তিযোদ্ধা। ২৪ সালে তিনি একজন রাজাকার ও ফ্যাসিস্টদের দোসর। তিনি যেখানেই আসবেন, সেখানেই তাঁকে প্রতিহত করা হবে।