খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি মামলার পর বিএনপির ২ নেতা গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে বিএনপি-আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি মামলার পর বিএনপির দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলা সদরের সবুজবাগ এলাকায় বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন খাগড়াছড়ি পৌর বিএনপির ক্রীড়া ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক নেছার আলী ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুল কুদ্দুস।
বিএনপি অভিযোগ করেছে, মামলার পর জেলা বিএনপির সহ–আইনবিষয়ক সম্পাদক রতন কুমার ত্রিপুরা, জেলা যুবদলের সহসভাপতি নাসির সিকদার, আমীর খানসহ একাধিক বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়া অভিযোগ করেন, বিএনপির করা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগের করা মিথ্যা মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তিনি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, পুলিশি হয়রানি বন্ধ ও গ্রেপ্তার দুই নেতার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার দুজনই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২৬ মে খাগড়াছড়িতে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলায় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সহসভাপতি ক্ষেত্র মোহন রোয়াজাসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। এ ঘটনায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি মামলা করে।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মেহেদী হাসানের করা মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছারসহ ১১০ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও দেড় থেকে দুই শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। মামলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়।
অন্যদিকে খাগড়াছড়ি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ওমর ফারুক সুজনের আদালতে মামলা করেন জেলা বিএনপির আইনবিষয়ক সহসম্পাদক রতন কুমার ত্রিপুরা। তিনি মামলায় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম ইসমাইল হোসেনকে প্রধান আসামি করে ১০৩ জনের নাম উল্লেখ করেন। এ ছাড়া এই মামলায় আওয়ামী লীগের আড়াই শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। মামলায় খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীকে হুকুমের আসামি করা হয়।