শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি থেকে প্রত্যাহারসহ ৫ দফা দাবি এক দল শিক্ষার্থীর
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে বের করা, সেশনজট নিরসনসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী। আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা এই দাবি তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সালেহ মো. নাসিম এবং শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের পলাশ বখতিয়ার পাঁচ দফা দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের করে এনে স্বতন্ত্রভাবে বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন, সেশনজট কমিয়ে আনার জন্য আগামী তিনটি সেমিস্টারের প্রতিটি চার মাসে শেষ করা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার সঙ্গে জড়িত এবং হলে অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা, ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা ও পোষ্য কোটা বাতিল করা এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে উন্মুক্ত পড়ার কক্ষের ব্যবস্থা করা।
আবু সালেহ মো. নাসিম বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতির কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান অনেক কমে গেছে। একক ভর্তি পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নের যে মান, তা গুচ্ছে দেখা যাচ্ছে না। এ ছাড়া গুচ্ছ ভর্তিতে একই অঞ্চলের শিক্ষার্থী বাড়ায় একধরনের পক্ষপাতিত্বের বিষয় দেখা যাচ্ছে। গুচ্ছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে বের করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
পলাশ বখতিয়ার বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হামলার সঙ্গে জড়িত নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের অনেকেই এখন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দ্রুত তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, নয়তো সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দ্বিধাবোধ করবেন না।
সংবাদ সম্মেলন শেষে শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি উপাচার্য বরাবর জমা দেন। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে উপাচার্য এ এম সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবিই যৌক্তিক। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নীতিগতভাবে একমত। যথাযথভাবে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়নে শিগগিরই কাজ শুরু করার কথা আছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মাহবুবুল ইসলাম, রিয়াজ হোসেন, রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সরকার জীবন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সুস্মিতা ভট্টাচার্য প্রমুখ।