পদ্মা ও মহানন্দা নদীর পানি বেড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারায়ণপুর দারুল হুদা আলীম মাদ্রাসায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। গত বুধবারের চিত্রছবি: সংগৃহীত

পদ্মা ও মহানন্দা নদীর পানি বেড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমির ফসল। পানিবন্দী হয়েছে প্রায় ৮৫০ পরিবার।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবতাবুজ্জামান-আল-ইমরান প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় পাকা ও দুর্লভপুর ইউনিয়নের প্রায় ৮০০ পরিবার ও মনাকষা ইউনিয়নের কিছু পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নাজির হোসেন বলেন, মাষকলাইসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। নারায়ণপুর দারুল হুদা মাদ্রাসায় পানি ঢুকে পড়ায় সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া আগে ভাঙনের শিকার হয়ে যেসব পরিবার নতুন নতুন স্থানে সমতলে বসবাস করছিল, সেই সব পরিবারগুলোও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পলাশ সরকার জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা, উজিরপুর, দুর্লভপুর, ছত্রাজিতপুর, ঘোড়াপাখিয়া এবং সদর উপজেলার নারায়ণপুর, আলাতুলী, শাহাজাহানপুর ও চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের ১ হাজার ৫৫৯ হেক্টর মাষকালাই, রোপা আউশসহ বিভিন্ন সবজিখেত বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। অন্যদিকে গোমস্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত জমি মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এগুলোর আংশিক ক্ষতি হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীতে ১০ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে পদ্মার পানি। অন্যদিকে মহানন্দার পানি বেড়েছে মাত্র এক সেন্টিমিটার। মহানন্দার পানিও রয়েছে বিপৎসীমার নিচে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা কম বলে ধারণা করা হচ্ছে।