পলাশবাড়ীতে বিএনপি–জামায়াতের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ

গাইবান্ধা জেলার মানচিত্র

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে একটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

আজ বুধবার রাত সাতটার পর পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের চারমাথা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) জায়ামাতপন্থী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাহিদুল ইসলামের সঙ্গে ইউপি সদস্যদের দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার পরিষদের সদস্যরা চেয়ারমানের অপসারণ চেয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অনাস্থা প্রস্তাব দেন। বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই বিএনপি নেতারা ইউপি সদস্যদের পক্ষ নেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ দ্বন্দ্বের জেরে বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ এলাকায় জামায়াত নেতাদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বাক্‌বিতণ্ডা হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উভয় পক্ষ লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা সদরের চৌমাথা মোড়ে অবস্থান নিলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি মোটরসাইকেল। এতে উভয় পক্ষের বেশ কিছু নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপি ও জামায়াতের লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনীর সহায়তায় রাত সাড়ে আটটার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাহিদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তিনজন ইউপি সদস্যদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তাঁদের কেউ ফোন ধরেননি।