গাজীপুরে ময়লা-বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

সংঘর্ষ
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ময়লা-বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হামলা-সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার মৌচাক এলাকায় এ সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

এলাকাবাসী জানান, মৌচাক বাজার সমিতির সভাপতি মাসুদ পারভেজ কয়েক বছর ধরে মৌচাক শিল্পাঞ্চলের প্রতিটি বাসাবাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন। তিনি জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহসিন সরকারের ভাই। মাসুদ পারভেজ তাঁর কর্মচারী খাইরুল ইসলামকে দিয়ে ময়লা–বাণিজ্য সামলাতেন। প্রতি বাড়ি থেকে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা আদায় করতেন খাইরুল। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ওই ময়লা–বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেন মৌচাক ইউনয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি উমর আলী ফারুক। উমর আলী ফারুকের পক্ষের লোকজন খাইরুলের কাজে বাধা দিলে মাসুদ পারভেজ ও তাঁর ভাই মোহসিন সরকার এগিয়ে আসেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সন্ধ্যায় মৌচাক বাজার এলাকায় মাসুদ পারভেজের লোকজন এবং উমর আলীর লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাসুদ পারভেজ (৪০) ও তাঁর ছেলে নুর আলম সিদ্দিকী (১৮) এবং মৌচাক এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম (৩৮) ও হুমায়ূন আহমেদকে (৪০) স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং আরও সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

আহত মাসুদ পারভেজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিন দিন ধরে আমাদের সঙ্গে ময়লা ব্যবসাকে কেন্দ্র করে উমর আলীদের সঙ্গে ঝামেলা হচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই উমর আলীর লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়।’

এ ব্যাপারে কথা বলতে উমর আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম নাসিম বলেন, মৌচাক বাজারে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।