পশুর নদ খননের বালু থেকে ফসলি জমি বাঁচাতে নাগরিক সমাবেশ
মোংলা বন্দরের ড্রেজিং প্রকল্পের আওতায় পশুর নদ খনন করে উত্তোলন করা বালু খুলনার দাকোপ উপজেলার বানীশান্তা এলাকার ফসলি জমিতে ফেলা হতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকে নাগরিক সমাবেশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ শনিবার হওয়া এ সমাবেশে একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস বলেন, ‘বানীশান্তার উর্বর কৃষিজমি নষ্ট করতে দিতে চাই না। উন্নয়নের স্বার্থে মোংলা বন্দর চ্যানেল খনন দরকার। কিন্তু খননের বালু আমাদের কৃষিজমিতে কোনোভাবেই ফেলতে দিতে রাজি নই।’
সমাবেশে কৃষকরা যেকোনো মূল্যে কৃষিজমিতে বালু ফেলার সিদ্ধান্ত প্রতিহত করার ঘোষণা দেন।
বক্তারা বলেন, মোংলা বন্দর ড্রেজিং প্রকল্পের কারণে পশুর নদ খনন করা হচ্ছে। এটি নিয়ে কৃষকদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু বানীশান্তা এলাকার ফসলি জমিতে ধান, তরমুজ ও সবজির চাষ হয়। এসব জমিতে বালু ফেলা হলে এলাকার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বেন। জলাশয়গুলোও নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে এলাকায় স্বাদুপানির সংকট দেখা দেবে।
নাগরিক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বানীশান্তা ইউপি চেয়ারম্যান সুদেব রায়। বক্তব্য দেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের নেতা অসিত বরণ বিশ্বাস, দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ রায়, বানীশান্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল কান্তি, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় নেতা মো. নূর আলম শেখ, বানীশান্তা ইউনিয়ন কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সদস্য সঞ্জীব মণ্ডল, সিপিবি খুলনা জেলার সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন, কৃষকনেতা কিশোর রায় প্রমুখ।