মির্জাপুরে কুমুদিনী কমপ্লেক্স পরিদর্শনে ব্রিটিশ হাইকমিশনার
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। আজ শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় তিনি কুমুদিনী কমপ্লেক্সে পৌঁছান।
স্বামীকে নিয়ে সারাহ কুক কুমুদিনী কমপ্লেক্সে পৌঁছালে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা তাঁদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এ সময় কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পরিচালক শম্পা সাহা ও মহাবীর পতি, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল হালিম, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক প্রদীপ কুমার রায় ও উপমহাব্যবস্থাপক অনিমেষ ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন।
কুমুদিনী হাসপাতালের গ্রন্থাগারে চা–চক্রে অংশ নেওয়ার পর স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার। সারাহ কুক বলেন, কুমুদিনী কমপ্লেক্স হাসপাতাল ও অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা সম্পর্কে তাঁর সুন্দর ধারণা আছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষায় তাদের অবদান বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের জন্য কাজে আসবে। এতে তাঁদের সহযোগিতা থাকবে বলে তিনি জানান।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার পরে ভারতেশ্বরী হোমসের মাঠে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় শারীরিক কসরত উপভোগ করেন। সেখান থেকে বজরা নৌকায় (ডিঙি) লৌহজং নদ পার হয়ে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ি ও মন্দির পরিদর্শন করেন তিনি। এরপর কুমুদিনী হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা, মেডিকেল কলেজ, নার্সিং স্কুল ও কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে জানেন। মধ্যাহ্নভোজ শেষে বিকেল চারটার দিকে ঢাকার উদ্দেশে কুমুদিনী কমপ্লেক্স ত্যাগ করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার।
কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট বাংলাদেশের জনকল্যাণকর সংস্থাগুলোর মধ্যে বৃহত্তম ও প্রাচীনতম। শিল্পপতি ও দানবীর হিসেবে খ্যাত শহীদ রণদা প্রসাদ সাহা ১৯৪৭ সালে তাঁর মা কুমুদিনীর স্মরণে এ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। ওই সময় থেকে এ সংস্থা বাংলাদেশের মানুষের, বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রণদা প্রসাদ সাহাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।