কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র থেকে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে আরিফুল ইসলাম (২০) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে পুলিশ। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর চরের গ্রামের পাশে নদের তীরে একটি নৌকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত তরুণ রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর এলাকার বাসিন্দা মো. সুরুজ্জামানের ছেলে। সুরুজ্জামান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক। তিনি কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। সেই সুবাদে আরিফুল স্থানীয় লোকজনের মধ্যে প্রতিমন্ত্রীর ভাতিজা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আরিফুলদের সঙ্গে একই গ্রামের বাসিন্দা আজাদের সঙ্গে বালু ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। আরিফকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায় খুনিরা। তাঁর গলায় মাফলার পেঁচানো ছিল। এ ছাড়া শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আরিফুলের বড় ভাই আনোয়ার হোসেনের দাবি, তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে একই গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে বালু ব্যবসা ও আধিপত্ত বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাঁর ভাইকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা আনোয়ারের।
রোববার দুপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের কিনারে একটি নৌকা থেকে আরিফুল ইসলামের লাশটি উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন রৌমারী থানা–পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, সকালে নিহতের বড় ভাইয়ের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অভিযোগের বিষয়ে আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনে কল করা হলে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল (শনিবার) ঢাকা কোনাবাড়ী থেকে এসে যাদুরচর কর্তিমারী বাজারে রাত একটায় নেমেছি। সেখানের স্থানীয় ফলের দোকানদার ও ভ্যান চালকরা আমায় দেখেছে। এর পর আমি বাসায় এসে ঘুমাইছিলাম। সকালে তাঁর (আরিফুল ইসলাম) মৃত্যুর খবর শুনলাম। এ ঘটনায় আমি জড়িত নই। আপনারা আমার ফোন কল যাচাই করতে পারেন। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি।