গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় যুবকের লাশ উদ্ধার, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক স্ত্রী
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় নিজ ঘর থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বুলাকিপুর ইউনিয়নের কুলানন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই যুবকের স্ত্রীকে আটক করেছে।
নিহত সুজন চৌধুরী (৩০) কুলানন্দপুর গ্রামের হংসলাল চৌধুরীর ছেলে। তাঁর স্ত্রীর নাম দুলালী রানী (২৫)। তাঁর বাবার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলায়।
সুজন চৌধুরীর পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আজ বৃহস্পতিবার ভোরে সুজন চৌধুরীর বাবা হংসলাল চৌধুরী শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘরের বাইরে বের হন। ঘরে ফেরার সময় বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ে অন্ধকারের মধ্যে ছেলের বউ দুলালী রানীকে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। এ সময় দুলালী রানি তাঁর শ্বশুরকে দেখে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেন। এ ঘটনা দেখে হংসলাল চৌধুরীর সন্দেহ হলে তিনি তাঁর ছেলের ঘরে যান। এ সময় তিনি ঘরের মধ্যে তাঁর ছেলে সুজন চৌধুরীর গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি ছেলের নাম ধরে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে চিৎকার দেন। এ সময় আশপাশের লোকজন তাঁর চিৎকার শুনে এগিয়ে যান।
পরে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুজনের লাশ উদ্ধার করে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুজনের স্ত্রী দুলালী রানীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। আজ সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হাকিমপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আ ন ম নিয়ামত উল্লাহ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হংসলাল চৌধুরীর অভিযোগ, দুলালী রানী তাঁর স্বামীর গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যা করেছেন। তবে হত্যার কারণ সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। আটক দুলালী রানী এ বিষয়ে এখনো পুলিশের কাছে কোনো কথা বলেননি।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, পরিবারের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।