পত্নীতলায় বাস-অটোভ্যান সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও ব্যাটারিচালিত ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আমবাটি মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনায় প্রথমে একজনের মৃত্যু হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
রামেক হাসপাতালে মারা যাওয়া দুজন হলেন উপজেলার পাহাড়কাটা গ্রামের আমজাদ হোসেনের স্ত্রী শরিফা খাতুন (৪৮) ও আমিনাবাদ গ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে অটোভ্যানচালক মিজানুর রহমান (৪৫)। এর আগে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান শরিফার মেয়ে শানজিদা খাতুন (২৬)। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে রামেক হাসপাতালে আছেন আরও তিনজন। তাঁরা হলেন শরিফা খাতুনের ছেলে শামীম রেজা (৩০), শানজিদার ছেলে সোহান (৬) ও মহাদেবপুর উপজেলার নাটুয়াপাড়া গ্রামের আরিফুজ্জামান (১৫)।
পত্নীতলা উপজেলার পাটিচরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সবেদুল ইসলাম তিনজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শানজিদা, তাঁর শিশুসন্তান, মা ও ভাই ভ্যানে করে পাহাড়কাটা গ্রাম থেকে নজিপুর পৌরসভা বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে নজিপুর-ধামইরহাট সড়কের আমবাটি মোড় এলাকায় ধামইরহাটের দিকে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে তাঁদের ভ্যানের সংঘর্ষ হলে ছয়জন গুরুতর আহত হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শানজিদা খাতুনের মৃত্যু হয়। আহত অপর চারজনের অবস্থাও গুরুতর হওয়ায় তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি জব্দ করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে চালক ও তাঁর সহকারী পলাতক। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।