ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ১০টি বাস আটকে রেখেছেন জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীরা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলায় ঠিকানা পরিবহনের চালকের সহকারী মো. রাসেলকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানার পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় গতকাল রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী ঠিকানা পরিবহনের ১০টি বাস আটক করে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে রেখেছেন ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত আটটার দিকে টিউশনি শেষে সাভার ক্যান্টনমেন্টের পদাতিক গেট থেকে বাসে ওঠার সময় ঠিকানা পরিবহনের একটি বাসের চালকের সহকারী এক ছাত্রীকে হেনস্তা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বাসগুলো আটক করেন তাঁর সহপাঠীরা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহকারী রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) মোহাম্মদ আবু সৈয়দ বাদী হয়ে মধ্যরাতে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন।
অভিযোগে ওই ছাত্রী বলেন, তিনি রাত আটটার দিকে সাভার ক্যান্টনমেন্টের পদাতিক গেট থেকে ঠিকানা পরিবহনের এক বাসে উঠেন। বাসের চালকের সহকারী তাঁকে আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে জানতে চান। তখন তিনি বলেন, ইচ্ছা করে তিনি এ কাজ করেননি। এর ১০ মিনিট পর তিনি (ছাত্রী) ডেইরি গেটে (বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বিপরীতে) নেমে যান। বিষয়টি তিনি সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানান। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
ঠিকানা পরিবহনের পরিচালক কবির হোসেন আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের একটি বাসের চালক ব্রেক কষলে হেলপার (চালকের সহকারী) এক ছাত্রীর গায়ের ওপরে পড়ে। সেটা ইচ্ছাকৃতভাবে হতে পারে, অনিচ্ছাকৃতভাবেও হতে পারে। এ কারণে ক্যাম্পাসের ছাত্ররা ১০টি বাস আটক করে রেখেছেন। হেলপারকে আশুলিয়া থানায় নেওয়া হয়েছে। একটা বাসের অপরাধের ফলে বাকি বাসগুলো বিপদে পড়েছে।’
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় গতকাল রাতে ঢাকার নিউমার্কেট এলাকা থেকে বাসের চালকের এক সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।