সিলেটে সীমান্তবর্তী নদ-নদীর পানি বাড়ছে, চতুর্থ দফা বন্যার শঙ্কা

সিলেটের অনেক এলাকায় এখনো পানি নামেনি। আবারও অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরছবি: প্রথম আলো

সিলেটের ভারত সীমান্ত এলাকার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ৪৮ ঘণ্টা অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে। এতে সিলেটে চতুর্থ ধাপে বন্যা হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গতকাল বুধবার থেকে সিলেটে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় ১১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যদিকে ভারতের মেঘালয়েও ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলার নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে চতুর্থ ধাপে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন সিলেটের বাসিন্দারা।

এর আগে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে গত ২৯ মে প্রথম ধাপে, ১৭ জুন দ্বিতীয় ধাপে ও ১ জুলাই তৃতীয় ধাপে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে সিলেট নগরের অভ্যন্তরেও ছয় দফায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। যার ফলে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় সিলেটের দুটি নদীর তিনটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া সীমান্তবর্তী উপজেলার লুভা নদীর কানাইঘাটের লুভাছড়া পয়েন্টে, সারী নদীর সারীঘাট পয়েন্টে, গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে ডাউকী নদীর পানি এবং কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদের পানি বেড়েছে।

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এ ছাড়া পাহাড়ি ঢল নামলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে।