ঝাউবনে ঘেরা যে সৈকতে দেখা যাবে লাল কাঁকড়ার লুকোচুরি
সৈকতের ঝাউবনে নিত্য আলোছায়ার খেলা। তার পাশে ফুটে আছে অপরূপ সাগরলতার ফুল। নিরিবিলি বালুচরে লাল কাঁকড়া হেঁটে বেড়াচ্ছে। এমন অনিন্দ্য সুন্দর সৈকতের দেখা মিলবে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়।
বাঁশখালীর এই সৈকতটির নাম কদমরসুল সৈকতে। বছর দুয়েক আগেও কেবল ছুটির দিনে এই সৈকতে পর্যটকদের ভিড় দেখা যেত। তবে এখন প্রায় প্রতিদিনই দেখা মিলছে দর্শনার্থীদের। সৈকতের ঝাউবন কিংবা বালিয়াড়িতে বসে সূর্যাস্ত ও লাল কাঁকড়ার লুকোচুরি দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও মনোমুগ্ধকর এই সমুদ্রসৈকত অবস্থিত উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নে। বাঁশখালীর গুনাগরী থেকে পশ্চিম দিকে ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে কদমরসুল সৈকত। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতে দর্শনার্থীরা দলবদ্ধ হয়ে ফুটবল খেলছেন। কেউ আড্ডা দিচ্ছেন সৈকতে বসে।
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা থেকে বেড়াতে আসা আলিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী উপজেলার এই সমুদ্রসৈকতে খুব সুন্দর সময় কেটেছে তাঁর।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর সৈকতটিতে ঝাউগাছ লাগায় বন বিভাগ। এরপর সেখানে অবকাশযাপনের জন্য পর্যটন করপোরেশনের অর্থায়নে একটি রিসোর্ট, কংক্রিটের ছাতা ও বৈঠকখানা করা হয়। পরে রিসোর্টটি বন্ধ হয়ে গেলেও এখনো কংক্রিটের ছাতা ও বৈঠকখানাটি রয়েছে। পর্যটকেরা সেখানে বসে সময় কাটান।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আতিক বলেন, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার সৈকতে দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। তবে অন্য দিনেও এখন আশপাশের এলাকার দর্শনার্থীরা সৈকতে আসছেন।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি সৈকতের সৌন্দর্য বাড়াতে পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল অথবা কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর গোড়া থেকে মিলবে পেকুয়া, বাঁশখালীর বাস। বাঁশখালী স্পেশাল সার্ভিস অথবা লোকাল বাসে ভাড়া নেবে ৪০ থেকে ৮০ টাকা। নামতে হবে গুনাগরিতে। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ১০ থেকে ১২ মিনিট লাগে কদম রসুল সৈকতে পৌঁছাতে। সৈকতের আশপাশে রাত যাপনের ব্যবস্থা নেই। সে জন্য উপজেলা সদর অথবা চট্টগ্রাম আসতে হবে।