ছাত্রদল কর্মী হত্যার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাবেক এসপিসহ ৪৫ জনের নামে মামলা

মামলাপ্রতীকী ছবি

সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মঞ্জুরুল কবীর ও সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামানসহ ৪৫ জনের নামে আদালতে হত্যা মামলা করা হয়েছে। ছাত্রদলের কর্মী মাহমুদুল হাসানকে (২৩) গুলি করে হত্যা করার অভিযোগে তাঁর বাবা আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।

আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়াল মামলাটি গ্রহণ করে সাতক্ষীরা সদর থানাকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনার ১১ বছর পর এ মামলা করা হলো। মাহমুদুল হাসান সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।

মামলায় সদর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হকসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ৭০-৮০ জনকে।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘিরে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটার দিকে কদমতলা মোড় থেকে মানুষ মিছিল নিয়ে সাতক্ষীরা সিটি কলেজ মোড়ের দিকে যেতে থাকেন। এ সময় তৎকালীন পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান, সদর থানার ওসি এমদাদুল হক ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিলের ওপর নির্বিচার গুলি করতে থাকেন। একপর্যায়ে ছাত্রদল কর্মী মাহমুদুল হাসানের বুকে গুলি লাগে। পরে তাঁর লাশ ভ্যানে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে মাহমুদুল হাসানের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ওই সময়কার রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা সম্ভব হয়নি। তাই আবদুর রাজ্জাক এখন মামলাটি করেছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সামাদ জানান, তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৪৫ জনের নামে আদালতে মামলা করা হয়েছে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি গ্রহণ করে এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।