কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, ৫০০টি গুলি, এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধসহ আহত অর্ধশতাধিক

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার কোটবাড়ি মোড় নন্দনপুর এলাকায় পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেনছবি: প্রথম আলো

‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ প্রথম দিন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ি বিশ্বরোডে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ঘণ্টাব্যাপী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ সময় পুলিশ অন্তত ৫০০টি গুলি ছোড়ে। এ সময় সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। এ ঘটনায় এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টা থেকে এখন (বিকেল পৌনে পাঁচটা) পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলছিল।

আহতদের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আহত শিক্ষার্থীদের নাম–পরিচয় জানা যায়নি।

এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দুপুর সাড়ে ১২টায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কোটবাড়ি বিশ্বরোডে জড়ো হন। তাঁরা বারবার পুলিশকে অনুরোধ করেন, তাঁদের কর্মসূচিতে যেন ছাত্রলীগ বাধা না দেয়।

নাম প্রকাশ করার শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, অন্তত ৫০০টি গুলি করা হয়েছে। পরে গুলি শেষ হয়ে যাওয়ায় মজুত করা গুলি আনতে হয়। আন্দোলন সমন্বয়কারীদের অন্যতম সাকিব বলেন, ‘টিয়ার শেল ও ঢিলের আঘাতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আমাদের ওপর পুলিশ নির্মমভাবে আক্রমণ করেছে।’

এদিকে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় গুলি করতে গিয়ে পুলিশের গুলি শেষ হয়ে যায়। পরে কোতোয়ালি মডেল থানা থেকে পুলিশ মজুত করা গুলি আনে। দফায় দফায় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে পুরো কোটবাড়ি এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

এদিকে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা গাছের গুঁড়ি ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।

ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইকবাল বাহার জানান, মহাসড়কে পুলিশ সদস্যরা টহলরত আছেন। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন।