অসদাচরণের অভিযোগে যুক্তরাজ্যপ্রবাসীকে বিমান থেকে নামিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর
যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজের যাত্রীর বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় আজ সোমবার বেলা দেড়টার দিকে বিমানের পাইলট ওই যাত্রীকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে। পরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ওই যাত্রীকে সিলেট বিমানবন্দর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। পরে অবশ্য পরিবারের জিম্মায় ওই প্রবাসীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই যাত্রীর নাম ফয়েজ আহমদ খান। তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। তাঁর বাড়ি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার থেকে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমানের সিলেটগামী সরাসরি ফ্লাইট বিজি ২০৮-এর যাত্রী ছিলেন ফয়েজ আহমদ খান। উড়োজাহাজটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার আগে তিনি কেবিন ক্রুদের সঙ্গে অসদাচরণ করেছেন। বিষয়টি কেবিন ক্রুরা পাইলটকে জানালে পাইলটও তাঁকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে পাইলটের সঙ্গেও অসদাচরণ করেন ওই যাত্রী।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে থাকা পাইলটও ওই যাত্রীকে নিবৃত্ত করতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে তাঁকে বলা হয়েছিল, তিনি যদি আরও বাড়াবাড়ি করেন, উড়োজাহাজটি নির্দিষ্ট বিমানবন্দরের আগেই যেকোনো বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হবে।
হাফিজ আহমদ বলেন, ‘ফ্লাইটটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর পাইলট আমাদের কাছে ওই যাত্রীকে হস্তান্তর করেন। পরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’
সিলেট বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ওই যাত্রী বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এরপর বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষও কোনো অভিযোগ দেননি। এ ঘটনায় পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে।
ওই যাত্রীর বরাত দিয়ে ওসি বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত ছোট। তিনি ডায়াবেটিক রোগী। ফ্লাইটে তিনি কয়েকবার খাবার চেয়েছিলেন। এ নিয়েই কিছুটা উত্তপ্ত কথাবার্তা হয়েছিল। এ সময় খিদে থাকায় তিনি কিছুটা অস্থির ছিলেন। পরে অবশ্য তিনি ভুল বুঝতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।