মে দিবসে সিলেটে রেস্তোরাঁ খোলা রাখায় ভাঙচুর

সিলেটের দক্ষিণ ‍সুরমা কদমতলী এলাকায় মে দিবসে রেস্তোরাঁ খোলা রাখায় ভাঙচুর করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে তোলা
ছবি: প্রথম আলো

মহান মে দিবসে রেস্তোরাঁ খোলা রাখায় আজ বুধবার সকাল ১০টা ও বেলা ২টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকায় দুটি হোটেলে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এতে রেস্তোরাঁর মালিকসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।

রেস্তোরাঁর মালিকদের অভিযোগ, শ্রমিক নামধারী দুর্বৃত্তরা এমন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছেন। সে সঙ্গে লুটপাট চালানো হয়েছে।

পুলিশ বলছে, খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রেস্তোরাঁর মালিক অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রেস্তোরাঁর মালিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকায় নিউ পাঞ্জাখানা রেস্টুরেন্ট, শাহজালাল রেস্টুরেন্ট নামের দুটি রেস্তোরাঁ খোলা ছিল। এ সময় ১০-১৫ জন যুবক হঠাৎই হামলা চালায়। এতে রেস্তোরাঁর কাচের দরজা, জানালা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রেস্তোরাঁ লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে পালিয়ে যান হামলাকারীরা। এ সময় রেস্তোরাঁর মালিকসহ ১০ জন আহত হন।

নিউ পাঞ্জাখানা রেস্টুরেন্টের পরিচালক আব্দুল মালিক বলেন, মে দিবসে রেস্টুরেন্ট কেন খোলা রেখেছেন, এমন কথা বলে বুধবার দুপুরে হঠাৎই হামলা চালিয়েছেন ১০-১৫ জন যুবক। এ সময় তিনিসহ রেস্টুরেন্টে থাকা ৫ জন কর্মচারী আহত হন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হামলাকারীরা রেস্তোরাঁর ক্যাশ থেকে টাকাও লুট করে নিয়ে গেছেন।

শাহজালাল রেস্টুরেন্টের পরিচালক রুহেল মিয়া বলেন, বুধবার সকালে তার রেস্তোরাঁর শ্রমিকদের তিনি শ্রমিক দিবসের আয়োজনে অংশ নিতে বলেছিলেন। পরে কয়েকজন স্বজনদের নিয়ে তিনি রেস্তোরাঁ খোলেন। সকাল ১০টার দিকে হঠাৎই একদল যুবক তাঁর রেস্তোরাঁয় হামলা চালান। এতে আড়াই লাখ থেকে তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়ারদৌস হাসান প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে রেস্তোরাঁগুলো পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় কেউই অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পাওয়ার পর পরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।