জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছাড়লেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-২ আসনে (দিরাই ও শাল্লা) নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়তে পদত্যাগ করেছেন শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ওরফে আল আমিন চৌধুরী। আজ রোববার বিকেলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এর আগে সকালে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের ছোট ভাই। তিনি শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সুনামগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে প্রায় দুই বছর ধরে মাঠে প্রচার চালাচ্ছেন।
পদত্যাগপত্রটি গৃহীত হয়েছে দাবি করে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আনুগত্য রেখে রাজনীতি করছি। আমার বাবা আবদুল মান্নান চৌধুরী শাল্লা উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। দিরাই-শাল্লার মানুষ এবার পরিবর্তন চায়। আশা করি এবার এখানে আমিই নৌকা পাব।’
সুনামগঞ্জের ভাটি এলাকা হিসেবে পরিচিত দিরাই-শাল্লা। এই আসন থেকে বারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তাঁর মৃত্যুর পর ২০১৭ সালে এখানে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তা। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি নৌকা নিয়ে আবার নির্বাচিত হন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। সুরঞ্জিতের মৃত্যুর পর জয়া সেনগুপ্তার সঙ্গেও রাজনীতি করেছেন তিনি।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ১৯৯৬ সালে তাঁর বাবা রাজনীতি থেকে অবসর নিলে তিনি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের হাত ধরে সুনামগঞ্জ-২ নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সক্রিয় হন। ২০১৪ সালে শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে শাল্লা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন।
সুনামগঞ্জ-২ আসনে জয়া সেনগুপ্তা ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ছাড়াও মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ডালটন তালুকদার, প্রদ্যোত কুমার তালুকদার ও শাল্লা উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অবনি মোহন দাস।