মোহনগঞ্জে আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ ২৩০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

মামলাপ্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দলের ২৩০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক বাদী হয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেন।

১৭ আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত এ নিয়ে জেলায় নয়টি থানায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৩০টি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। এর মধ্যে মোহনগঞ্জে দুটি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ৩ হাজার ৪৫৭। এর মধ্যে নাম উল্লেখ আসামি হলেন ১ হাজার ৩৭০ জন।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে মোহনগঞ্জ পৌর শহরে স্টেশন রোড এলাকায় ছাত্র–জনতার ওপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে মামলা করেন পৌর বিএনপির নেতা ফজলুল হক। আজ শনিবার থানায় করা মামলায় ছাত্র–জনতার ওপর হামলা ছাড়াও তাঁর (ফজলুল হক) টেংগাপাড়া এলাকায় বাসাবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন, দেশি অস্ত্র ব্যবহার ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ করা হয়। মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর সভার সাবেক মেয়র মো. লতিফুর রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ ইকবাল, যুগ্ম সম্পাদক ও বড়কাশিয়া বিরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন চৌধুরীসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ২০০ জনকে।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী ফজলুল হক বলেন, সুনির্দিষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে মামলাটি করতে কেটু দেরি হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আওয়ামী লীগের সভাপতি লতিফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শহিদ ইকবালের মুঠোফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাঁরা আত্মগোপনে রয়েছেন।

মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আসামিরা সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।