ফারাজ হোসেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দেড় শতাধিক মানুষ পেলেন চিকিৎসা–ওষুধ

ফারাজ হোসেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত চিকিৎসাশিবিরে সেবা নিতে আসেন দেড় শতাধিক হতদরিদ্র মানুষ। আজ শনিবার বগুড়া শহরতলীর ফুলদীঘি এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান ও তাঁর নাতি ফারাজ আইয়াজ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বগুড়ায় দিনব্যাপী চিকিৎসাশিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার ‘মানবতার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা’শীর্ষক দিনব্যাপী এই চিকিৎসাশিবিরের আয়োজন করে ‘ফারাজ হোসেন ফাউন্ডেশন’।

বগুড়া শহরতলীর ফুলদীঘি এলাকায় ট্রান্সকম ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (টিডিসিএল) আঞ্চলিক ডিপো এবং পেপসি প্ল্যান্টে দেড় শতাধিক হতদরিদ্র মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল। পাশাপাশি রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধও বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।

চিকিৎসাশিবিরে রোগীদের সেবা দেয় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা তানভীর আহম্মাদ এবং আল আমিনের নেতৃত্বে একটি দল। অন্যদের মধ্যে ছিলেন উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা ফারুক হোসেন ও শাহাদৎ হোসেন প্রমুখ।

সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে চিকিৎসা নিতে আসেন মানুষেরা। আজ শনিবার দুপুরে বগুড়া শহরতলীর ফুলদীঘি এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

ফারাজ হোসেন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে চিকিৎসাশিবির আয়োজনে সমন্বয় করেন দেশের অন্যতম ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এসকেএফের জ্যেষ্ঠ সহকারী বিক্রয় ব্যবস্থাপক মো. আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক রুহুল আমিন, ট্রান্সকম ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (টিডিসিএল) বগুড়া ব্রাঞ্চ ইনচার্জ মতিউর রহমান প্রমুখ।

সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যে চিকিৎসাশিবিরে দেড় শতাধিক মানুষ সেবা নিতে আসেন। তাঁদের একজন ফুলদীঘি এলাকার শারমিন আকতার (৩৫)। তিনি বলেন, ‘টেকার অভাবে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করাবার পারি না। চিকিৎসা আর ওষুধডা পায়্যা হামার খুব উপকার হচে।’

আরও পড়ুন

ফারাজ হোসেন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ওষুধ ও ব্যবস্থাপত্র পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ফুলদীঘি এলাকার হারুনুর রশীদ (৪০)। তিনি বলেন, ‘ম্যালাদিন (অনেক দিন) থাকে অসুখত ভুগিচ্চি। টেকার অভাবে চিকিৎসা করাবার পারিচ্চি না। এটি আসে মাগনা ডাকতার দেকাপার পারনু, ওষুধও পানু।’

ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২০ সালের ১ জুলাই তিনি মারা যান। ২০১৬ সালের একই দিনে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিদের নৃশংস হামলায় প্রাণ হারান লতিফুর রহমানের দৌহিত্র ফারাজ আইয়াজ হোসেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর নামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘ফারাজ হোসেন ফাউন্ডেশন’।

এই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা শিবিরে ত্রাণ বিতরণ, বন্যাদুর্গত এলাকায় খাদ্যসহায়তা প্রদান, করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ, হতদরিদ্র রোগীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা, ওষুধ প্রদানসহ সারা দেশে নানা মানবিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন