ঘরের সিলিং ফ্যানে দুটি ওড়নায় ঝুলছিল স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ
ঘরের সিলিং ফ্যানে কালো একটি ওড়নায় ঝুলছিল স্ত্রী ও কমলা রঙের ওড়নায় স্বামীর মরদেহ। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা গিয়েছিলেন তাঁদের খোঁজ নিতে। ওই সময় ঘরের ভেতর এ দৃশ্য দেখতে পান তাঁরা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার জমিরদিয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ গিয়ে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন সাগর ইসলাম (২২) ও তাঁর স্ত্রী নূপুর বেগম (১৯)। সাগরের বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় ও নূপুরের নেত্রকোনার মদন উপজেলায়।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সাগর ও নূপুরের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রায় আট মাস আগে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু এ সম্পর্কে দুজনের পরিবারের আপত্তি ছিল। বিষয়টি নিয়ে দুজনই কষ্ট পাচ্ছিলেন। যে বাসা থেকে তাঁদের ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে, সেখানে দুই মাস ধরে বসবাস করে আসছিলেন এ দম্পতি।
প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তাঁরা প্রেম করে বিয়ে করেন। তবে তাঁদের পরিবার মেনে নেয়নি। আশপাশের লোকজন দুজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে গতকাল রাত ৯টার দিকে পুলিশকে খবর দেয়। দুটি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেলের কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মরদেহ দুটিতে আঘাতের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।