বগুড়ায় ইসলামী ব্যাংক থেকে দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ, মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় চাঁপাপুর ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এজেন্ট শাখা থেকে গ্রাহকের দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সুজন রহমান নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে ঢাকার ধামরাইয়ের তালতলা এলাকায় র্যাব-১২–এর বগুড়া ক্রাইম প্রিভেনশন স্পেশালাইজড কোম্পানি এবং র্যাব-৪ (সাভার) যৌথ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
বগুড়া ক্রাইম প্রিভেনশন স্পেশালাইজড কোম্পানির অধিনায়ক মীর মনির হোসেন বলেন, সুজন রহমান ব্যাংক থেকে গ্রাহকের দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। তাঁর বাড়ি বগুড়ার কাহালু উপজেলায়। তিনি ওই এজেন্ট ব্যাংকের ক্যাশিয়ার ছিলেন। তাঁকে আদমদীঘি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মীর মনির হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুজন রহমান দায় স্বীকার করেছেন। তাঁর বড় চাচা নুরুল ইসলাম হঠাৎ আর্থিক সংকটে পড়লে তিনি ব্যাংক থেকে গ্রাহকের জমা করা টাকা আত্মসাতের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রাহকেরা অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে এলে তিনি একাধিক আঙুলের ছাপ নিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে ফেলতেন।
র্যাব জানায়, গত ২৩ মে মার্জিয়া বেগম নামের এক গ্রাহক ওই ব্যাংকে জমা করা টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে তাঁর হিসাব নম্বরে পর্যাপ্ত টাকা না পেয়ে শাখা ব্যবস্থাপককে মৌখিক অভিযোগ করেন। ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সুজন রহমান ওই দিনই সপরিবার নিরুদ্দেশ হন। এতে সুজনের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ফাঁস হলে শতাধিক গ্রাহক ব্যাংকে এসে জানতে পারেন, তাঁদের হিসাব নম্বর থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
২৮ মে এজেন্ট শাখার স্বত্বাধিকারী নুরুল ইসলাম ক্যাশিয়ার সুজন ও তাঁর মা–বাবার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। ১১ জুন ইসলামী ব্যাংক পিএলসির দুপচাঁচিয়া শাখার ব্যবস্থাপক কাজী মিজানুর রহমান, নুরুল ইসলামসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়। এর পর থেকেই আসামিরা গা ঢাকা দেন।
২৩ জুন গ্রাহকেরা আমানত ফেরত ও অর্থ লুটকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এজেন্ট শাখায় তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে চাঁপাপুর এজেন্ট শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম আমানতকারীদের বুঝিয়ে তালা খুলে দেন।