আপনি কবে থেকে গাছে গাছে পাতিল বাঁধা শুরু করেছেন?
জহির রায়হান: ২১ এপ্রিল থেকে আমি এ কাজ করে যাচ্ছি, যা এখনো চলমান। পার্শ্ববর্তী এলাকার খাল-বিলে পানি না জমা পর্যন্ত কাজটি করে যাব।
আপনার মাথায় বিষয়টি কীভাবে এল?
জহির রায়হান: এবারের প্রচণ্ড খরায় মাঠঘাটে কোথাও পানি নেই। এমন অবস্থায় রাতে শুয়ে শুয়ে ভাবি, পানির পিপাসা পেলে আমরা হাতের কাছে পেয়ে যাচ্ছি। নলকূপগুলোতে পানির সংকট হলেও বিকল্প ব্যবস্থায় পানি পান করছি; কিন্তু পাখিরা পানির পিপাসায় কী করছে, তাদের পানির ব্যবস্থা কীভাবে হবে? এই চিন্তা থেকে আমি গাছে গাছে পাতিল বেঁধে পানির ব্যবস্থা করি।
প্রতিদিন এগুলোতে কীভাবে পানি দিচ্ছেন?
জহির রায়হান: আমি যেসব পাতিল বেঁধে দিয়েছি, তার সুতা গাছের নিচে রয়েছে। আমি নিজে ঘুরে ঘুরে পানি দিচ্ছি, আর এলাকার কিছু মানুষকে অনুরোধ করে এসেছি—পাতিল নামিয়ে পানির ব্যবস্থা করে দিতে।
আপনি দরিদ্র মানুষ, এসব কাজে যে অর্থ ব্যয় হয়, সেগুলো মেটান কীভাবে?
জহির রায়হান: আমার একটি পেশা আছে। সেটি হলো মানুষের বাসাবাড়িতে রঙের কাজ করা। এই কাজ করে আমি যা আয় করি, তার তিন ভাগের এক ভাগ সামাজিক কাজে ব্যয় করি।
এই কাজে আপনার ভালো লাগা কী?
উত্তর: সামাজিক কাজ করতে পারলে এমনিতেই নিজের মধ্যে ভালো লাগা কাজ করে। পাশাপাশি যখন কেউ বলে, এ কাজটা জহিরের কাছ থেকে শিখেছি, জহির যা করে তা অনেকেই পারে না, এসব শুনলে খুব ভালো লাগে।