পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীকে বেঁধে রাখার ঘটনায় তিন আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ‘ইউএনওর নির্দেশে’ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক কর্মচারীকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখার ঘটনায় তিন আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁদের প্রত্যাহারের আদেশ দেওয়া হয়। আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের জেলা কমান্ড্যান্ট মো. মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যাহার হওয়া আনসার সদস্যেরা হলেন মো. আনোয়ারুল ইসলাম, মো.খাইরুল ইসলাম ও রূপক সরকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরের আবাসিক কোয়ার্টারের বেলি-১, হাসনাহেনা-১ ও আনসার ব্যারাকের বিদ্যুতের বিল বকেয়া আছে। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুতের দেওয়ানগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. শেখ ফরিদের নির্দেশে লাইন টেকনিশিয়ান ইকবাল হোসেন ও লাইনম্যান মো. শাহজামাল নামের দুই কর্মচারী বকেয়া বিলের জন্য গত বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে যান। সেখানে দায়িত্বশীল কাউকে না পেয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ওই দুজন বিষয়টি শেখ ফরিদকে জানান। তখন তিনি বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেন। পরে ইকবাল হোসেন ও শাহজামাল বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টি আনসার সদস্যদের জানান। আনসার সদস্যরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানান। একপর্যায়ে ইউএনওর নির্দেশে আনসার সদস্যরা ইকবাল হোসেনকে বারান্দার খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন।
ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশেই আমি ও লাইনম্যান শাহজামাল আনসার ব্যারাকে যাই। সেখানে কর্তব্যরতদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা বললে তারা (আনসার সদস্য) ইউএনওকে ফোন দেন। কার নির্দেশে ওখানে গিয়েছি, জানতে চান। একপর্যায়ে ব্যারাকের আনসার সদস্যরা আমাকে বারান্দার খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে আমাকে ছেড়ে দেন।’
বেঁধে রাখার একটি ভিডিও গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে ইউএনওর প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীরা। এরপর আজ তিন আনসার সদস্যকে প্রত্যাহারের খবর পাওয়া গেল।