চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত সাতজনের পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কারখানাটির ব্যবস্থাপক ইফতেখার উদ্দিন গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
গত শনিবার বিকেলে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হন। এ ঘটনায় নিহত এক ব্যক্তির স্ত্রী বাদী হয়ে সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন উদ্দিন ও তাঁর দুই ভাইসহ মোট ১৬ জনকে আসামি করে দায়িত্ব ও কর্তব্য অবহেলার অভিযোগে একটি মামলা করেন।
গতকাল সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের দাফন–কাফনের জন্যই ইতিমধ্যে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে গত মঙ্গলবার দুই লাখ টাকা করে শ্রম আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার খরচ বহন করছে মালিকপক্ষ। এ ছাড়া দুই পথচারী ও এক গাড়িচালকের সহকারীর ক্ষতিপূরণ কী হতে পারে, তা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে দেওয়া হবে। সুস্থ হওয়া পর্যন্ত কারখানার আহত কর্মীদের বেতন চলমান থাকবে।
এদিকে ওই বিস্ফোরণে আহত ২১ জনকে শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সর্বশেষ গতকাল বুধবার দুপুরে সীতাকুণ্ডের বিএসবিএ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা ফাতেমা বেগমকে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন। এ সময় তিনিও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত রোববার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ২০ জনকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ৫০ হাজার টাকা এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি সহযোগিতা ইতিমধ্যে আহত ব্যক্তিদের দেওয়া হয়েছে। এখন মালিকপক্ষ থেকে আহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থার চেষ্টা করছেন। আগামী দু–এক দিনের মধ্যে মালিকপক্ষ থেকে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ নেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।