স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের নামে চাঁদা নেওয়া চরভদ্রাসন ইউএনওর দুই সিএ–কে বদলি
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের নামে রসিদ দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দুই গোপনীয় সহকারী (সিএ) নিতাই কুমার সাহা ও সুজন পালকে বদলি করা হয়েছে। আজ বুধবার ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ আদেশ দেওয়া হয়।
সিএ নিতাই কুমার সাহাকে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ও সুজন পালকে আলফাডাঙ্গা উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই দুজনের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাঁদের এ শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার আজ বুধবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, বদলির পাশাপাশি দুই সিএকে শোকজ করা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য আগে শুনবেন। এরপর চাঁদার টাকা কোথায় ব্যবহার করা হয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত কমিটি করার চিন্তা রয়েছে।
উল্লেখ্য, নিতাই কুমার সাহা ও সুজন পাল স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের নামে রসিদ দিয়ে সম্প্রতি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলছিলেন। ১৮ ও ১৯ মার্চ বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে দেওয়া এ-জাতীয় ছয়টি টাকা গ্রহণের রসিদে দেখা যায়, ‘২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন হিসেবে অনুদান’ লিখে সিল দেওয়া হয়েছে। গোল সিলে লেখা ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, চরভদ্রাসন’। কোনোটিতে ২৫ হাজার টাকা, কোনোটিতে ৪ হাজার টাকা, কোনোটিতে ৩ হাজার টাকা, আবার কোনোটিতে ২ হাজার টাকা চাঁদার পরিমাণ লেখা রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, ওই দুই সিএ রসিদ দেওয়ার সময় যে পরিমাণ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে, তা দিতে বাধ্য করেছেন। টাকা কম দিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে হয়রানি করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ইউএনও মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম প্রথম আলোকে বলেছিলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তিনি কোনো সিএ-কে এ পরামর্শ দেননি।
এ নিয়ে গত মঙ্গলবার প্রথম আলোয় ‘স্বাধীনতা দিবসের নামে চাঁদা তুলছেন ইউএনওর সিএ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।