ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের একটি কেন্দ্রে গোপন কক্ষে ভোট না দিয়ে প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট দিয়েছেন ১০ ভোটার। নৌকার এক কর্মী ওই ১০ ভোটারকে নিয়ে ভোটকক্ষে ঢোকেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের (ঈগল প্রতীক) এজেন্ট। আজ বেলা ১টা ১০ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে সদরের গেরদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ নম্বর ভোটকক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ভোটকেন্দ্রে ঈগল প্রতীকের এজেন্ট হালিমা বেগম বলেন, ‘স্থানীয় নৌকার এক কর্মী ১০ ব্যক্তিকে একত্রে ভোটকেন্দ্রে ঢুকিয়ে পোলিং এজেন্টের টেবিলের ওপর প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারান। পরে আমি চিল্লাচিল্লি করলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এসে নৌকার ওই কর্মীকে কেন্দ্র থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন। তখন নৌকার ওই কর্মী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে বলেন, “ওরা তো এখানকার ভোটার। ওরা নিজেদের ভোট ওপেনে দিলে আপনার সমস্যা কোথায়?” এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে ওই ব্যক্তি কেন্দ্র থেকে সরে যান।’
হালিমা বেগম আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘এভাবে যদি সাধারণ ভোটারদের জোর করে ধরে এনে ওপেনে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করা হয়, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়ন হলো?’
প্রকাশ্যে নৌকায় ভোটের ঘটনা স্বীকার করে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও জনতা ব্যাংক ফরিদপুর শাখার কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ওই কেন্দ্রে ৮-৯ জন ভোটার তাঁদের নিজ নিজ ভোট দিয়েছেন। তবে প্রকাশ্যে নৌকায় দিয়েছেন বলে ঈগলের এজেন্টের অভিযোগ ও আপত্তির মুখে তাঁদের অন্য সঙ্গীদের গোপন কক্ষেই ভোট দিতে বলা হয়েছে।