রাজশাহী নগরের বিনোদপুর বাজারঘেঁষা বিসিএসআইআর ল্যাবরেটরি উচ্চবিদ্যালয়ে ভোট দিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই আসেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। তিনি ওই বিদ্যালয়ের ২০৪ নম্বর কক্ষে ঢুকে ভোট দেন সকাল ৮টা ১৭ মিনিটে। তিনি জানতেন না যে ইভিএম চালু হতেই সকাল ৮টা ১২ মিনিট বেজে যাবে। তিনি ঠিক ৮টায় ভোট দিয়ে ৯টার ফ্লাইট ধরে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, সময়মতো ভোট শুরু হলে ভালো হতো। দেরি যে হবে, সেটা ভোটাররা জানেন না।
একই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন নগরের চৌদ্দপায় এলাকার বাসিন্দা নাফিজ। তিনি ঢাকা থেকে শুধু ভোটটি দিতে এসেছেন। আজ ৯টার ফ্লাইটে তাঁর ঢাকায় যাওয়ার কথা। তিনি ভোট দিলেন ৮টা ২০ মিনিটের পর। তিনি বলেন, ৮টা থেকে ভোট শুরু হলে ভালো হতো।
একই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা একটি ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী আমিনুর হক বলেন, তিনি ভোট দিয়ে ব্যাংকের দায়িত্বে যাবেন। কিন্তু ভোট দিতেই সময় লেগে যাচ্ছে।
এই কেন্দ্রের নৌকার এজেন্ট মো. আবদুল হামিদ বলেন, ইভিএম সিস্টেমে ১২ মিনিট পর নাকি ৮টা বাজে! এ কারণে দেরি হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন প্রিসাইডিং অফিসার।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সব কেন্দ্রেই এ ধরনের সমস্যা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন ভোটাররা। বিষয়টি তাঁদের জানিয়ে দেওয়া উচিত ছিল বলেও জানান তাঁরা। পাঁচ থেকে ছয়টি কেন্দ্রে বিলম্বের জন্য ভোটারদের বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কাজী রায়হান বলেন, তাঁদের ইভিএম সিস্টেমই ১২ মিনিট লেট বাংলাদেশ সময় থেকে। এ কারণে সমস্যা হয়েছে। এটা তাঁদের আয়ত্তের মধ্যে নেই। তাই ১২ মিনিট পরেই শুরু হয়েছে।