পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়নের ভোলমারা ও খেজুরবাড়িয়া গ্রামের পাঁচ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বলেশ্বর নদের ভাঙনের কবলে পড়েছে। বাঁধের বিভিন্ন স্থান ভেঙে নদে বিলীন হয়ে গেছে। জিও ব্যাগ ফেলার পরেও রোধ করা যাচ্ছে না ভাঙন।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, বলেশ্বর নদের লঞ্চঘাট এলাকা থেকে স্টিমারঘাট পর্যন্ত এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধের একাংশ নদে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে। তবে এতে নদের ভাঙন থেকে বেড়িবাঁধ রক্ষা করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া ভোলমারা ও খেজুরবাড়িয়া গ্রামের কাটাখাল পর্যন্ত বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থান নদে ভেঙে যাচ্ছে।
উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সফিকুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, তিন দশকের বেশি সময় ধরে বলেশ্বর নদের অব্যাহত ভাঙনের কবলে পড়েছে ভোলমারা ও খেজুরবাড়িয়া গ্রামের একাংশ। এক মাস আগে বলেশ্বর নদের তীরবর্তী পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। লঞ্চঘাট থেকে স্টিমারঘাট পর্যন্ত ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বেড়িবাঁধের একাংশ নদে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন রোধ করা না গেলে পুরো বেড়িবাঁধ নদে ভেঙে যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পিরোজপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বড়মাছুয়া স্টিমারঘাট এলাকায় ৫০০ মিটার নদের তীর সংরক্ষণের জন্য ৪৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় বেড়িবাঁধ রক্ষায় নদের তীরে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এতে ৮৫ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, সাধারণত বর্ষা মৌসুমে নদের ভাঙন দেখা দেয়। তা ছাড়া বিভিন্ন সময়ে জলোচ্ছ্বাসে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। আগেও কয়েকবার জিও ব্যাগ ফেলে নদের ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হলেও তা কাজে আসছে না।
খেজুরবাড়িয়া গ্রামের অতুল চন্দ্র সাহা বলেন, বেড়িবাঁধ থেকে অনেক দূর পর্যন্ত ফসলি জমি ও বসতবাড়ি ছিল। কয়েক দশকে এসব জমি ও বাড়িঘর নদের ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। বালু উত্তোলনের ফলে নদে ভাঙন সৃষ্টি হয়।
পাউবোর পিরোজপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর হোসেন বলেন, আপাতত জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করছেন। সেখানে ব্লকের কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা হবে।