সিলেটে ট্রেনের বগিতে আগুনের ঘটনায় পুলিশের মামলা
সিলেট রেলস্টেশনে একটি বগিতে আগুন লাগার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এজাহারে আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে জানালেও তিনি নামগুলো বলেননি।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগিতে আগুন লাগে। রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। গতকাল রাতেই এ ঘটনায় বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম। তবে তদন্ত কমিটির ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত জানাতে পারেননি। এ ব্যাপারে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) মোহাম্মদ মফিজুর রহমানসহ একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কেউ সাড়া দেননি।
সিলেট রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে আসা জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেন গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সিলেট রেলস্টেশনে পৌঁছায়। রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ট্রেনটিকে স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আনা হয়। জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটিই সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস হয়ে রাত সাড়ে ১১টায় রওনা হওয়ার কথা ছিল। প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন করার পর উপবন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বন্ধ ছিল। ট্রেনের বগির দরজা-জানালাও বন্ধ ছিল। ট্রেনের ভেতর যাত্রীও ছিল না। এর মধ্যেই ট্রেনটির শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ‘খ’ বগিতে আগুন লাগে। পুড়ে যাওয়া বগিটিতে ৫৫টি আসন ছিল। এর মধ্যে ২৭টি আসন আংশিক পুড়ে গেছে।
সিলেট রেলওয়ে পুলিশের সুপার শেখ শরিফুল ইসলাম বলেন, দেশব্যাপী বিরোধী দল বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে জামালপুর ও টাঙ্গাইলে কয়েকটি ট্রেনে আগুন দিয়েছে। এই বগিতে আগুন লাগার বিষয়টি নাশকতারই অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে, পেট্রল বা কোনো কিছু ছিটিয়ে আগুন লাগানো হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের দলেরও একই ধারণা।
নুরুল ইসলাম বলেন, পুড়ে যাওয়া বগিটি রেখে গতকাল রাতেই উপবন এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। পুড়ে যাওয়া বগিটি সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে রয়েছে। সেটি পরবর্তী সময়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।