চিরিরবন্দরে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় মর্জিনা আক্তার (২৭) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে আবদুল্লাহ ওরফে শুভ নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক সাদিয়া সুলতানা এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম লিয়াকত হোসেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আবদুল্লাহ কুমিল্লার পিকুলিয়া শিবপুর গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে। নিহত মর্জিনা আক্তার কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর গ্রামের আমিনুর রশিদের স্ত্রী। চাকরির সুবাদে চিরিরবন্দর উপজেলা শহরের আবদুলপুর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন আমিনুর-মর্জিনা দম্পতি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আমিনুর, তাঁর স্ত্রী মর্জিনা ও তাঁর একমাত্র শ্যালিকা ফাতেমা আক্তারসহ চিরিরবন্দর উপজেলা শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। আবদুল্লাহর সঙ্গে মুঠোফোনে নিহত ব্যক্তির বোন ফাতেমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৭ সালের জুনে আবদুল্লাহর সঙ্গে ফাতেমার বিয়েও হয়। বিয়ের কিছুদিন পর ফাতেমার স্বামী আবদুল্লাহর নিজ বাড়ি কুমিল্লাতে গিয়ে দেখেন সেখানে আবদুল্লাহর আরও একজন স্ত্রী ও সন্তান আছে। পরে ফাতেমা দিনাজপুরে ফিরে আসেন এবং স্বামীকে তালাক দেন। ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি আবদুল্লাহ দিনাজপুরে আসেন এবং আমিনুরের বাসায় প্রবেশ করে ফাতেমা ও তাঁর বড় বোন মর্জিনাকে ধারালো চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজনের কাছে আটক হন। ঘটনাস্থলে মর্জিনার মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হন ফাতেমা। পরে আমিনুর চিরিরবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে আসামি আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন রনজিৎ কুমার ও আসামিপক্ষে ছিলেন খলিলুর রহমান।