গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় না থাকার সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হলো?
আনোয়ার হোসেন: সাধারণ শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের সময় প্রতি প্যানেলেই প্রথম ওয়াদা ছিল, গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া। যে কারণে সাধারণ শিক্ষকেরা নির্বাচিত সমিতির কাছে দাবি করেন, ‘আপনারা ওয়াদার বরখেলাপ করবেন?’ সেই ওয়াদা রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। নিজস্ব পদ্ধতিতেই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার সম্মতি সব শিক্ষকই দিয়েছিলেন?
আনোয়ার হোসেন: হ্যাঁ, সবার সম্মতি ছিল। একাডেমিক কাউন্সিল সভাতে সবাই একমত হয়েছিলেন।
গুচ্ছ পদ্ধতির সুবিধা-অসুবিধা কী মনে করেন? সেটা যদি একটু বিস্তারিত বলতেন...
আনোয়ার হোসেন: গুচ্ছে থাকলে সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশি। গুচ্ছে যাওয়ার কারণে আমাদের বিভিন্ন বিভাগে অনেক আসন খালি থাকছে। আর্থিক কোনো জবাবদিহি নেই। আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্ট এটা পারমিট করে না।
গুচ্ছ থেকে বের হলে সুবিধার মধ্যে কী হতে পারে?
আনোয়ার হোসেন: শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা সুবিধা পান। ঝামেলা কমে যায়। শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হলে খুবই দ্রুততম সময়ে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করা যায়। শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয় না।
প্রশাসন বা শিক্ষকদের আর্থিক কোনো লাভ-লোকসানের বিষয় আছে কি?
আনোয়ার হোসেন: এটা তেমন কিছু না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়। সেখানে কোনো হস্তক্ষেপ নেই। স্বাধীনতার পর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। নিজস্ব পদ্ধতি না থাকায় শিক্ষকদের মধ্যে ইগো কাজ করে। নানা দিক বিবেচনা করেই এটা (গুচ্ছ পদ্ধতি) কেউ চাইছেন না।
বিগত দুই শিক্ষাবর্ষে আপনারা দাবি করেও পরে গুচ্ছতেই পরীক্ষা নিয়েছেন। এবারও কি তা-ই হবে?
আনোয়ার হোসেন: আগাম কিছু বলা যাবে না।