ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে আরও তিন নারীর মৃত্যু

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
ফাইল ছবি

ফরিদপুরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত আরও তিন নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তাঁদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি বছর ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ৮৫। নতুন করে আরও ২৭৪ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর জেলায় মোট ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ হাজার ৪৯২। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৫২৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যে তিন নারীর মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন মারা গেছেন ফরিদপুর ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বাকি দুই নারী মারা গেছেন ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া নারীর নাম নওবাহার বেগম (৬০)। তিনি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বিলনালিয়া গ্রামের শেখ জিন্নাহর স্ত্রী। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া দুই নারী হলেন হাসিনা বেগম (৫০) ও হালিমা বেগম (৬০)। হাসিনা বেগম নগরকান্দার বনগ্রামের জাফর মুন্সির স্ত্রী। আর হালিমা বেগম ফরিদপুরের মধুখালীর চব বাগাট গ্রামের আরশাদ মিয়ার স্ত্রী।

বর্তমানে ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৬৮০ জনের চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৮০ জন, ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ৫৪ জন এবং বোয়ালমারীতে ৬৪ জন। অন্যরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭৯ জন, ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ৩, নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ ও ফরিদপুর ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ফরিদপুর জেলা সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ফরিদপুরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা যাচ্ছে না। রোধ করা যাচ্ছে না মৃত্যু। প্রতিদিনই ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন রোগী। গত ২১ জুলাই ফরিদপুরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ওই দিন থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা তাঁদের ভাবিয়ে তুলেছে।