ধর্ষণের অভিযোগে বরিশালের আদালতে এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

এক নারীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে বরিশালের আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী নারী। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আফজালুল করিম বলেন, আসামি মো. মিজানুর রহমান ওরফে ফারুক (৫৪) ঢাকা মহানগর পুলিশের এসআই হিসেবে কর্মরত। তিনি বরিশাল নগরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের এ আর খান সড়কের স্থানীয় বাসিন্দা। ভুক্তভোগী নারী ওই এসআইয়ের মালয়েশিয়াপ্রবাসী বন্ধুর স্ত্রী।

এসআই মিজানুরের কাছ থেকে ৯ শতাংশ জমি কিনতে তাঁকে ৪৫ লাখ টাকা দেন ভুক্তভোগী নারী।

মামলার আরজির বরাতে আদালতের বেঞ্চ সহকারী হ‌ুমায়ূন কবির জানান, এসআই মিজানুর ভুক্তভোগী নারীর কাছে ৯ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। নগরের এ আর খান সড়কের ওই জমি কিনতে মিজানুরকে ৪৫ লাখ টাকা দেন ওই নারী। কিন্তু জমির দলিল না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন মিজানুর। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সময় ওই নারীকে কুপ্রস্তাবও দেন। ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই নারী একই সড়কে তাঁর ভাইয়ের নির্মাণাধীন ভবনে যান। এ সময় এসআই মিজানুর সেখানে গিয়ে তাঁকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এতে জ্ঞান হারালে ওই নারীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন মিজানুর। পরে সেগুলো স্বামী ও স্বজনদের কাছে পাঠানো ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ২০২৩ সালের ৭ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তাঁকে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনারের (প্রটেকশন বিভাগ) কাছেও লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী। কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন বলে নালিশি আবেদনে উল্লেখ করেন।