পাথরঘাটায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকে বহিষ্কৃত নেতার মারধর
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এক নেতাকে পিটিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত এক নেতা। গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের বটতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাথরঘাটা থানায় একটি মামলা হয়েছে।
মারধরের শিকার তরুণের নাম সিফাতুজ্জামান খান। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনাবিষয়ক উপসম্পাদক। মারধরে তাঁর বাঁ হাত ও ডান পায়ের হাঁটুতে জখম হয়েছে। আর অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মারজান।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, সিফাতুজ্জামানকে মারধরের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
অভিযোগের বিষয়ে আবদুল্লাহ আল মারজান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে সিফাত ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বটতলা বাজারে আসতে বলে। এ সময় ওখানে এসে দেখি স্থানীয় দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের মারধর করছে সিফাত ও তার লোকজন। তবে সিফাতকে আমি মারিনি। ও কীভাবে আহত হয়েছে, তা আমার জানা নেই। এ ঘটনায় আমরাও মামলা করব।’
আবদুল্লাহ আল মারজান জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার আগে থেকেই মাদক সেবন, বিক্রি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ছিলেন জানিয়ে পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়ালিদ মক্কী বলেন, তিনি হত্যা মামলারও আসামি। মারজানের এসব তথ্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ অবগত হলে তাঁকে জেলা ছাত্রলীগের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কারের ঘটনায় একই এলাকায় বাড়ি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সিফাতুজ্জামান খানের হাত রয়েছে বলে ধারণা করেন মারজান। এ জন্যই সিফাতুজ্জামান খানের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করেছেন তিনি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ সুজন প্রথম আলোকে বলেন, সিফাতুজ্জামান খানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার সময় তাঁর বাঁ হাত ও ডান পায়ের হাঁটুতে জখম এবং শরীরে বিভিন্ন অংশে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।