পাস করানোর এক দফা দাবিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে বিক্ষোভ করেছেন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ফেল করা একদল শিক্ষার্থী। আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে বোর্ডে অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
১৫ অক্টোবর এইচএসসির ফলাফল প্রকাশিত হয়। এবার চট্টগ্রামে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১ লাখ ৫ হাজার ৪১৬ জন। পাস করেন ৭৪ হাজার ১২৫ জন। পাসের হার ৭০ দশমিক ৭২ শতাংশ। ফেল করার পেছনে ‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’ পদ্ধতিকে দোষারোপ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টায় বোর্ড চত্বরে অবস্থান নেন। তাঁরা নানা ধরনের স্লোগান দেন। ‘জেগেছে রে জেগেছে/ ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘আবু সাঈদের বাংলায়/ বৈষম্যের ঠাঁই নাই’—এ রকম আরও নানা স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীরা একপর্যায়ে বোর্ড চেয়ারম্যান ও সচিবের কক্ষের সামনে বিক্ষোভ করেন। বিকেল সাড়ে চারটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অনেকেই বোর্ড চত্বরে অবস্থান করছিলেন।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, ফলাফলে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। তাঁদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। উত্তরপত্র যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের নামে বৈষম্য করা হয়েছে। তাই তাঁদের সব বিষয়ে পাস করিয়ে দিতে হবে। এক শিক্ষার্থী বলেন, গত বৃহস্পতিবার এক দফা দাবিতে বোর্ড চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছিল। দাবি মেনে না নিলে চট্টগ্রামের সব রাস্তা অচল করে দেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। এখানে কারও বিষয়ে বৈষম্য করার সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। রেজাউল করিম জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাসহ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে আলোচনা করেছেন।