সিলেটে ভারত সীমান্তের পাশে নদীতে পড়ে ছিল গুলিবিদ্ধ তরুণের লাশ
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তের পাশে নদীর পাড় থেকে বাংলাদেশি এক তরুণের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল চারটার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১২৮৬-১২৮৭ নম্বর পিলারের কাছে নয়াগাঙ নদীর পাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। জায়গাটি টিপরাখাল-ঘিলাতৈল এলাকার মধ্যবর্তী স্থান।
স্থানীয় লোকজনের দাবি, ভারতের খাসিয়াদের গুলিতে ওই তরুণ নিহত হয়েছেন। তবে ওই তরুণ কার গুলিতে নিহত হয়েছেন, পুলিশ সেটি নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি।
নিহত ওই তরুণের নাম জমির আহমদ (২৫)। তিনি জৈন্তাপুরের নিজপাট ইউনিয়নের ঘিলতৈল গ্রামের আবদুল মন্নানের ছেলে। লাশের বুকে ও পিঠে কয়েকটি ছররা গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দারা গরু-মহিষ চরানো এবং কাঠ সংগ্রহ করতে ভারত সীমান্তের অভ্যন্তরে ও আশপাশে যাতায়াত করে থাকেন। ভারত সীমান্তের অভ্যন্তরে বসবাস করেন খাসিয়া সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা। বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা ভারত সীমান্ত এলাকার আশপাশে অবস্থান করতে দেখলে প্রায়ই ভারত সীমান্তের অভ্যন্তর থেকে খাসিয়া হামলা চালান বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জমির আহমদও কোনোভাবে ভারত সীমান্তের আশপাশে অবস্থানকালে ভারতীয় খাসিয়ারা গুলি চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ বিকেল চারটার দিকে পরিবারের সদস্যরা নদীর পাড়ে পড়ে থাকা জমিরকে শনাক্ত করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেটের জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, নিহত তরুণের বুক ও পিঠে ছররা গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওসি বলেন, কার গুলিতে জমির আহমদ নামের ওই তরুণ নিহত হয়েছেন, সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এবং পরবর্তী তদন্তের পর বিষয়টি জানা যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি আবুল বাসার বলেন, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেন। ছররা গুলি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ব্যবহার করেন না। জমির আহমদ ছররা গুলিতে আহত হয়ে পরে মা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।