কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইকবাল মনোয়ারের সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। আজ সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত কর্মসূচি থেকে তারা অবিলম্বে ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মিছিল বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসে শেষ হয়। এতে সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মাহি, সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ইউসুফসহ সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এক বিবৃতিতে বহিষ্কারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক সেবীকা রানী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ বলেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ না দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করারও সুযোগ ছিল। কিন্তু প্রচলিত কোনো নিয়মকানুন না মেনে স্বেচ্ছাচারীর ভূমিকা প্রদর্শন করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নবীনবরণ অনুষ্ঠানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে এ ধরনের শিক্ষক যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে বিস্ময় প্রকাশ করেছে বিএফইউজে। অবিলম্বে শিক্ষার্থী সাংবাদিক মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় পেশাদার সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈনকে উদ্ধৃত করে ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার অনলাইনে গত ৩১ জুলাই একটি সংবাদ প্রকাশ করেন ওই পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইকবাল মনোয়ার। এর জের ধরে ২ আগস্ট ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।